শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনা:
শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনা হলো এমন একটি পদ্ধতি , যেখানে মানবসম্পদ ও বস্তুগত সম্পদ ব্যবহার করে, পরিকল্পনা সংগঠন পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর ফলে সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদান গবেষণা ও অন্যান্য কার্যাবলী গুলি দক্ষতার সাথে ও কার্যকরী ভাবে সম্পন্ন করা হয়।
শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনার প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ:
1. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্থির করা:
শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনা প্রথমে তার উদ্দেশ্য ও কর্মপদ্ধতি ঠিক করে এবং এর মাধ্যমেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাবার জন্য কাজ করে থাকেন। তাই বলা যায় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্থির করা হলো শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
2.সম্পদের সঠিক ব্যবহার:
শিক্ষামূলক ব্যবস্থাপনার আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সম্পদের সঠিক ব্যবহার অর্থাৎ কর্ম সম্পাদনের জন্য কর্মী সংগঠন ,প্রয়োজনীয় অর্থ,বাসস্থান ইত্যাদি সম্পদের ব্যবস্থা করা ও সঠিক ব্যবহার করা ।
3. কৌশল ও পদ্ধতি উদ্ভাবন:
শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের কর্ম সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি ও কৌশল উদ্ভাবন করে এবং সঠিকভাবে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণও করে থাকে।
4. ক্ষমতার ব্যবহার:
প্রতিষ্ঠানের স্থিরীকৃত নীতি গুলির রূপায়নের জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা এবং তার সঠিক ব্যবহার নির্ধারণ করা শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
5. পরিবর্তনশীলতা:
শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনা হলো একটি পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া অর্থাৎ এটি সমাজ প্রযুক্তি এবং নতুন গবেষণার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন হতে থাকে।
6. শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পরিকল্পনা:
শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপাদান হলো শিক্ষার্থীরা। তাই শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনায় সমস্ত পরিকল্পনা ও কৌশল গুলি শিক্ষার্থীদের চাহিদা প্রয়োজন এবং উন্নতির উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়ে থাকে।
7. গণতান্ত্রিক পদ্ধতি:
আধুনিক শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনা হলো গণতান্ত্রিক প্রকৃতির যেখানে শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মতামত কেউ গুরুত্ব দেওয়া হয় থাকে।
উপসংহার:
উপরিউক্ত আলোচনায় ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা, পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশনা, নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষতার সাথে কার্যকরীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদান,গবেষণা এবং অন্যান্য কাজগুলি সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।